Business

Games

» » » প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদি চূড়ান্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে আস্ফালন করেছেন

 সংসদীয় নির্বাচন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ঈশ্বর প্রেরিত দূত বলে প্রচার করার প্রতিবাদ করে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার-এর সভাপতি অধ্যাপক বিনয়ক নার্লিকার ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ভবানী শংকর দাস এক বিবৃতিতে বলেন:


প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদি চূড়ান্ত কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে আস্ফালন করেছেন, তিনি প্রাকৃতিক ভাবে জন্মগ্রহণ করেননি, তিনি ঈশ্বর-প্রেরিত দূত, এটি কেবল অবৈজ্ঞানিকই নয়, এ নিকৃষ্ট ও স্থূল রুচি সম্পন্ন। দেশ যখন সংসদীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং বাকি কেন্দ্রগুলিতে ভোটাররা তাঁদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন, তখন দেশের সর্বোচ্চ পদ থেকে এই ধরনের কুসংস্কারমূলক অপপ্রচার অবমাননাকর এবং বিশ্বের সামনে দেশের গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনার মাপকাঠিকে অবনমিত করছে। দেশের গণতান্ত্রিক সেক্যুলার যুক্তিবাদী চিন্তাশীল জনগণের পক্ষ থেকে আমরা দাবী জানাই প্রধানমন্ত্রী নিঃশর্তভাবে এ ধরনের অযৌক্তিক মান্ধাতার আমলের দাবী প্রত্যাহার করবেন।
এই ব্যক্তি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার মিডিয়া টিম এটি প্রথমবারই নয়, বরং ধারাবাহিকভাবে কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রচার ধুমধাম করে করার চেষ্টা করেছে। '১০,০০০ বছর আগে' পৌরাণিক গাথার গণেশের মাথায় প্লাস্টিক সার্জারি, পৌরাণিক মহাকাব্য মহাভারতে কৌরব মা গান্ধারীর ১০০ সন্তান প্রমাণ করে 'সেই সময়ে' ক্লোনিং ছিল - ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশনে স্তম্ভিত বিজ্ঞানী মহলকে শুনতে বাধ্য করা হয় - পিঠ বাঁচাতে করতালি সহযোগে। এবং সব চাইতে মারাত্মক, কোভিড অতি-মারীতে যখন কোটি দেশবাসী বিপন্ন, তখন তালি-থালি বাজিয়ে, প্রদীপ জ্বালিয়ে কোভিড প্রতিরোধ হবে বোঝানো হয়, কোভিড প্রতিকার হিসাবে গোবর এবং গোমূত্র প্রচারে করা হয়েছিল।
কুসংস্কারাচ্ছন্ন মননকে যা আমাদের দেশে ইতিমধ্যেই বিরাজ করছে, এই ধরনের কু-মন্তব্য তাতে আরও ইন্ধন জোগাবে। এটি আমাদের রেনেসাঁর অগ্রদূত ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চিন্তাভাবনা এবং সংগ্রামের পরিপন্থী। রাজনৈতিক ক্ষমতায় টিকে থাকার হীন উদ্দেশ্য-প্রসূত এই নোংরা কাজ ঠান্ডা মাথায় মানুষকে তাদের বাস্তব জীবনের সমস্যা ভুলিয়ে অন্ধতার গহীনে ঠেলে দেবে। এই ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পৌরাণিক কাহিনীকে সত্য ঐতিহাসিক ঘটনা বলে দেখানোকে আমরা সর্বান্তঃকরণে বিরোধিতা ও সমালোচনা করি।
একটি যুক্তিবাদী সেক্যুলার সামাজিক স্বাস্থ্য সংগঠন হিসাবে আমাদের মত, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাহিনী ক্রমাগত আমাদের দেশের নবজাগরণ ও গৌরবময় স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বোচ্চ সেকুলার নীতি-নৈতিকতাকে অবমাননা করে চলেছে। ঈশ্বর প্রেরিত দূত এসে স্বয়ং ঈশ্বরেরই ইচ্ছা বাস্তবায়ন করছি ২০৪৭ অবধি বলে নিজেকে অতি-মানব হিসাবে উপস্থাপনা করার অপচেষ্টার অর্থ হল, ধূর্ততার সাথে তাঁর অনুসৃত সমস্ত জনবিরোধী নীতির দায় ঝেড়ে ফেলে, নিজেকে আরো ২৩ বছর ক্ষমতার শীর্ষে থাকাকে ন্যায্যতা প্রদান করতে চাইছেন। নতুন শিক্ষানীতি ২০২০-এর মাধ্যমে তারা ইতিমধ্যেই ইতিহাসের বিকৃতি, শিক্ষার সকল স্তরে পরীক্ষামূলক ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার মৌলিক বিষয়গুলিকে ধ্বংস করার জন্য বুলডোজার চালাচ্ছে, যার বিরুদ্ধে আমরা আমাদের রেনেসাঁর অগ্রদূত এবং আপসহীন স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবীদের নীতি অনুসরণ করে লড়াই করেছি।
অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কার প্রচার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে এবং যুক্তি-বিজ্ঞান চিন্তাভাবনা রাষ্ট্রকে প্রসারিত করে সমগ্র দেশের যথার্থ বিকাশ সুনিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ দাতা
ডাঃ অংশুমান মিত্র
সম্পাদক
মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার
98314 76392

«
Next
رسالة أحدث
»
Previous
رسالة أقدم

ليست هناك تعليقات:

Leave a Reply

ملحوظة: يمكن لأعضاء المدونة فقط إرسال تعليق.